প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে

পটভূমি: ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলাধীন তাশুল্লা বাংলাবাজার  একটি জনবহুল গ্রাম। এখানে বহু দেশ বরেণ্য জ্ঞানী ও গুণী জন্ম গ্রহণ করেছেন। গ্রামে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। প্রতি বছর এ দু’টি বিদ্যালয় থেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য কোন স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেতনা। কেননা গ্রামে কোন মাধ্যমিক স্কুল ছিল না। তাশুল্লা উচ্চ বিদ্যালয় নবাবগঞ্জ  থেকে ১৬ কি.মি. দূরে অবস্থিত। কোন যানবাহন ছিলনা এবং রাস্তাঘাট ছিল কাচা ও জঙ্গলায় ভর্তি। ফলে গ্রামটি ধীরে ধীরে অশিক্ষার অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে থাকে। গ্রামের শিক্ষার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ১৯৯৩ সালে গ্রামে একটি জুনিয়র হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষার এ দৈন্যতা দেখে গ্রামের কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি   তখন এলাকার অনেক ব্যক্তি ভূমি দান করেন। শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীর পরিমান কম থাকলেও বর্তমানে স্কুলে আট শতাধিক এর বেশি ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ২০১০ সাল হতে এখন পর্যন্ত ৯০০ এর বেশী ছাত্র-ছাত্রী এখান থেকে পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়া-লেখা করছে। জে.এস.সি. ও এস.এস.সি. পরীক্ষায় প্রায় বছরই শতভাগ ছাত্র-ছাত্রী কৃতিত্বের সাথে পাশ করে। পাশের হার শতকরা ৮০ ভাগের নীচে কখন ও নেমে আসেনি। লেখা-পড়ার পাশাপাশি খেলা-ধুলায় ও স্কুলটির সুনাম রয়েছে। স্কুলটি কয়েক বার ফুটবলে উপজেলায় চ্যাম্পিওন হয়ে জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বসাক সাহেবের পরিচালনার ১৪ জন সহকারী শিক্ষক ও ২ জন সহকারী শিক্ষিকার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পাঠ দান চলছে। শিক্ষকরা এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এলাকাটি শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকেরা শিক্ষা সচেতন নয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়া-লেখায় মনোযোগি করতে শিক্ষকদের অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়। স্কুলটি ম্যনেজিং কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ পলাশ চৌধুরী এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি।